রক্ত ঝরছে? ঝরুক না! কী বললে, চোখের পাশটাও কেটে গেছে? রক্ত?
গাল কেটে গেছে? রক্ত ঝরছে? ঝরুক না!
কী বললে, চোখের পাশটাও কেটে গেছে? রক্ত? ধুর! এভার বানেগা তাঁর পুরোনো সহযোদ্ধার দৃষ্টি
আকর্ষণ করছিলেন। ম্যাচে, যাও, অন্তত মুখটা মুখে আসো! মাচেরানো হেসে উড়িয়েই দিলেন। স্পষ্ট
বোঝা যাচ্ছিল, বানেগাকে কী উত্তর দিলেন। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী রক্তাক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে
খেলতে দেওয়া হয় না। তুর্কি রেফারি মাচেরানোর কাছে এসে কথাটা বলার সাহসই হয়তো পাননি।
মাচেরানো যেভাবে পাথর মুখ করে লড়ে যাচ্ছিলেন, আজ শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও লড়ে
যেতেন। থামানো যেত না তাঁকে!
অনেকে বলেন, এই দলের নেতা আসলে মাচেরানোই।
লিওনেল মেসি মুখচোরা। সেই স্বভাব তো আর বদলানো যাবে না। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে
বানিয়েছেনই শুধু পায়ে ফুটবল দিয়ে কথার ফুল ফোটানোর জন্য। তবু মাচেরানোর কাছ থেকে
অধিনায়কের বাহুবন্ধনী মেসিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাচেরানো নিজে এগিয়ে এসে তখনকার
বার্সেলোনা সতীর্থের কাঁধে তুলে দিয়েছেন এই বাহুবন্ধনী। আর্জেন্টিনার বাহুবন্ধনী
তো ১০ নম্বরেরই প্রাপ্য।
এবার তাঁর কারণে
আর্জেন্টিনা ভুগেছে, এও সত্যি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি গোলে ভূমিকা আছে
মাচেরানোর গতি হারিয়ে ফেলা। আজও দলকে ডোবাতে বসেছিলেন। তাঁর কারণেই পেনাল্টি
পেয়েছে নাইজেরিয়া। যদিও ফাউলটা মেনে নিতে পারছিলেন না কিছুতেই। পারছিলেন না, ওই এক
পেনাল্টি গোলের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার রূঢ় বাস্তবতা দুয়ারে যে উঁকি
দিয়েছে, তাও মানতে।
No comments